বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের লজ্জাজনক পদক্ষেপ। এবার ময়মনসিংহে সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পৈতৃক বাড়িটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করল তারা। ভারত সরকারকে না জানিয়েই, কোনও আগাম বার্তা না দিয়েই, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর সম্পত্তিটি ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের এহেন পদক্ষেপের পরেই সরব হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কয়েক দশকের পুরনো ঢাকার হরিকিশোর রায়চৌধুরী রোডে অবস্থিত সত্যজিৎ রায়ের এই পৈতৃক বাড়িটি। সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পৈতৃক সম্পত্তি এটি। এই বাড়ি বাংলাদেশ শিশু আকাদেমির ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হত। ঐতিহাসিক এই স্থানটি এবং বাড়ি ভাঙার কাজ ভারত সরকারকে না জানিয়েই বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশে ভাঙা শুরু হয়েছে। যা ঘিরে তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় মঙ্গলবার রাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের আর্জিও জানিয়েছিলেন। তাঁর পোস্টের পরেই নড়েচড়ে বসে বিদেশ মন্ত্রক। রাতেই তড়িঘড়ি বাংলাদেশ সরকারের কাছে বাড়িটি না ভাঙার আর্জি জানানো হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘খবরে প্রকাশ যে, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরে সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা, স্বয়ং স্বনামধন্য সাহিত্যিক-সম্পাদক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর স্মৃতিজড়িত তাঁদের পৈতৃক বাড়িটি নাকি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল বলে খবর প্রকাশিত।’ এরপরই মমতা লেখেন, ‘এই সংবাদ অত্যন্ত দুঃখের। রায় পরিবার বাংলার সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক। উপেন্দ্রকিশোর বাংলার নবজাগরণের একজন স্তম্ভ। তাই আমি মনে করি, এই বাড়ি বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।’ মহম্মদ ইউনূস সরকারের কাছে এরপরই তিনি আর্জি জানিয়ে লিখেছেন, ‘আমি বাংলাদেশ সরকার ও ওই দেশের সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছে আবেদন করব, এই ঐতিহ্যশালী বাড়িটিকে রক্ষা করার জন্য। ভারত সরকার বিষয়টিতে নজর দিন।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পোস্টের পরেই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রের সরকার। মঙ্গলবার রাতেই বাংলাদেশ সরকারের কাছে তারা আবেদন জানিয়েছে, একশো বছরের পুরনো ঐতিহাসিক এই বাড়িটি যাতে ভেঙে না ফেলা হয়। ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়ে, সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িটি সংস্কার ও পুনর্নির্মাণে তারা আর্থিক সহায়তা করবে। গতকাল রাতেই একটি বিবৃতি দিয়ে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, বাংলাদেশের ময়মনসিংহে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পৈতৃক সম্পত্তি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করা হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারকে। ভারত ও বাংলাদেশের সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে এটি পুনর্নির্মাণ করার আবেদন করা হচ্ছে’।এই ঘটনার নিন্দায় এবার স্বরব হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “বিশাল ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্যপূর্ণ একটি স্থানকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা আমাদের ঐতিহ্যের উপর আক্রমণের চেয়ে কম কিছু নয়।এটি সর্বত্র বাঙালিদের সম্মিলিত বিবেকের উপর আঘাত এবং বিশ্ব শিল্পে রায় পরিবারের অতুলনীয় অবদানের প্রতি অবজ্ঞা।আমি বাংলাদেশ সরকারকে এই কঠোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার এবং এই সাংস্কৃতিক নিদর্শনটি রক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি ভারত সরকারকে যথাযথ দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততা শুরু করার আহ্বান জানাচ্ছি যাতে বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসের এই অপূরণীয় অংশটি ধ্বংসের ফলে হারিয়ে না যায়”।প্রসঙ্গত, হাসিনা সরকারের পতনের পর কয়েক মাস আগেই বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর করা হয় বাড়িটি। তা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথের বাড়ি ভাঙার খবর জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। এমন কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশে সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রকে কথার বলার আবেদন জানিয়েছিলেন সে সময়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পর এবার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িটি ভাঙার কাজ চলছে।

উত্তরপ্রদেশে নাবালিকার বাড়িতে ঢুকে গণধর্ষণের অভিযোগ তারই চার বন্ধুর বিরুদ্ধে! দরজা বন্ধ করে পুলিশ ডাকলেন মা
নিজের বাড়িতেই গণধর্ষণের শিকার হল নবম শ্রেণির এক নাবালিকা ছাত্রী!এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগটি উঠেছে উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদে। অভিযুক্তদের এক জন মেয়েটির ইনস্টাগ্রামের বন্ধু। বাকি তিন অভিযুক্ত ‘নির্যাতিতা’র